জালাল উদ্দিন/টোয়েন্টিফোর মিডিয়া ডটকমঃ
সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনে রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার ৬নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনসহ সাধারণ সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থীরা ভোটের ব্যালট পেপার পূণঃগণনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে মিঠাপুকুরের জায়গীর হাটের আলী মোড় নামক এলাকায় এই সংবাদ সম্মেলন মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ করেন প্রার্থীর সমর্থকরা।
সংবাদ সম্মেলনে ৬নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের পরাজিত প্রার্থী আফছানা পারভীন অভিযোগ করে বলেন, গত ৭ফেব্রুয়ারি মিঠাপুকুর উপজেলার ১৭ ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ৬নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের ৭,৮,৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনে হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি।
এই নির্বাচনে কুমুরগঞ্জ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে একই প্রিজাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত দুইটি ফলাফল শীট প্রকাশ করা হয়। প্রথম ফলাফল শীটে সূর্যমুখী ফুল প্রতীকে ৯৫টি ভোট গণনা দেখি ঘোষণা প্রকাশ করা হয়। কিছুক্ষণ পর একই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত অপর কপিতে একই প্রতীকে ২শ’ ৯৫ ভোট গণনা দেখা হয়।
তিনি আরও বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচনী ফলাফল পরিবর্তন ও তারতম্য দেখে প্রশাসনের কাছে বিষয়টি অবগত করি। এছাড়াও অপর ভোট কেন্দ্র যাদবপুর রহমানিয়া দাখিল মাদরাসায় আমার এজেন্টকে ভোটের কক্ষ থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে কারচুপির বিষয় নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে একই ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থী শাহীন মিয়া, ইলিয়াছ আলী ও শ্রী নিতাই চন্দ্র রায় বলেন, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান অর্থের বিনিময়ে ভোট কারচুপি ও তারাহুরো করে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীদের বিজয়ী করেছেন। আমরা ৬নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের নির্বাচনের ভোটের ব্যালট পেপার পূণঃগণনার দাবিতে নির্বাচন কমিশনার সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থীর স্বামী আলমগীর হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক মুকুল, আব্দুল ওহাব মাস্টার, রমজান আলীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রার্থীদের সমর্থকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।