জালাল উদ্দিন/টোয়েন্টিফোর মিডিয়া ডটকমঃ
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ডের বড়বাড়ি প্রধান সড়কের পাশে সরকারি ১১টি ইউক্লিপটাস গাছ দিনে-দুপুরে কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি গাছের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রংপুর জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার সামসুল হক ডেভিট। অপরদিকে পার্শবর্তী জমি মালিক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম রাজু গাছ গুলো নিজের দাবি করে কেটেছেন বলে দাবি করেছেন।
এই ঘটনা এলাকার সচেতন মহল দোষি ব্যক্তি শাস্তি দাবি করেছেন। এলাকাবাসী সঠিক তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসক , সিটি মেয়র ও বন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১০ফেব্রুয়ারি) রংপুর মহানগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের বড়বাড়ি সড়কের ধারে ১১টি ইউক্লিপটাস গাছ বিক্রি করেন বড়বাড়ি সরকার পাড়া এলাকার মৃত. হবিবার রহমানের ছেলে সড়কের পাশ্ববর্তী জমির মালিক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম রাজু। এদিকে এলাকাবাসির অভিযোগে গাছ কাটার ৫দিন পর (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে রংপুর জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার শামসুল আলমসহ দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে ফিতা দিয়ে সড়ক মাপজোক করে গাছগুলো সরকারি তা নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় কর্তনকৃত ১১টি ইউক্যালিপটাস গাছের গোলাই স্থানীয় সাখাওয়াতের “স” রাখা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসি ঘটনা সত্যতা যাচাই করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে জোড় দাবি করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেজাউল ইসলাম রাজু জানান, সড়কের নিচের জমি আমার।
এই সুবাধে গত ৫বছর পূর্বে সড়কের পাশে প্রায় ১৮টি ইউক্যালিপটাস গাছ রোপন করি। তিনি আরও জানান, স্থানীয় ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলের অনুমতি নিয়ে সড়কের ধারে থাকা গাছগুলো বিক্রি করে দেই। রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকতা সমাজিক বন বিভাগ রংপুরের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, সড়কটি জেলা পরিষদের। এটি জেলা পরিষদ তদারকি করে থাকে। তবে গাছ কাটার বিষয়টি জানা নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম মিঠু বলেন, আমি ইউপি সদস্য থাকাকালীন জমি মালিক রেজাউল ইসলাম রাজু গাছগুলো রোপন করেছিল।
এখন মাপজোক করলে সঠিক বিষয়টি জানা যাবে। এ বিষয়ে রংপুর জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার শামসুল আলম বলেন, গাছগুলো সরকারি। ১৯৪০ সালের ম্যাপ অনুযায়ী পুণঃরায় মাপজোক করে দেখা গেছে গাছগুলো সড়কের। তিনি বলেন, এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।