১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
সর্বশেষ
  • প্রচ্ছদ
  • সারাদেশ
  • ১১ নভেম্বরের পর দেশের রাজপথ যুবলীগের দখলে থাকবে- যুবলীগ চেয়ারম্যান

১১ নভেম্বরের পর দেশের রাজপথ যুবলীগের দখলে থাকবে- যুবলীগ চেয়ারম্যান

জালাল উদ্দিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর মিডিয়াঃ

আগামী ১১ নভেম্বরের পর সারা দেশের রাজপথ যুবলীগের দখলে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। শনিবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি এখন মিছিল সমাবেশ করছে। আমরা বলছি এখন যত মিছিল সমাবেশ করার ইচ্ছে করে নেন। আগামী ১১ নভেম্বর যুবলীগ সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে। ওই দিনের পর সারা দেশের রাজপথ যুবলীগের দখলে থাকবে।

তখন দেখা যাবে কত ধানে কত চাল। তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভাইদের দল, প্রতারকদের দল। এই দল এখন সভা সমাবেশের নামে দেশজুড়ে মিথ্যাচার করছে। মানুষকে মিথ্যা কথা বলে ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সমাবেশে গিয়ে তাদের নেতারা নাকে কান্না করছে। মানুষের ভন্ডামির সীমা আছে কিন্তু বিএনপির কোনো সীমা নেই। তাদের কোনো লজ্জা শরম নেই। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপির সমাবেশ হলে আওয়ামী লীগ পরিবহন ধর্মঘট দেয় না। এই ধর্মঘট দেন পরিবহন শ্রমিকরা। কারণ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানে বিএনপি অতীতে আন্দোলন সমাবেশের নামে জ্বালাও পোড়াও করেছে, ভাঙচুর করেছে।

পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করেছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এ কারণে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বিএনপির হামলা ভাঙচুরের ভয়ে পরিবহন ধর্মঘট দেন। তারা ভয়ে গাড়ি বের করেন না। বিএনপির ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায় না। তিনি আরও বলেন, বিএনপি জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। বিএনপি চাঁদাবাজদের দল। এই দলের শীর্ষ নেতা থেকে তৃণমূলের নেতা পর্যন্ত চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। এখন চাঁদাবাজ দলের সঙ্গে জাতীয় পার্টির কিছু নেতা সুর মিলাচ্ছেন। অথচ বিএনপির শাসনামলে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করা হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে এরশাদকে কারাগারে রাখা হয়েছিল।

জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা এই ইতিহাস ভুলে গেছেন। অথচ বর্তমান সরকার এবং আওয়ামী লীগ এরশাদের দল জাতীয় পার্টিকে ভালো রেখেছে। এদিকে দীর্ঘ ২৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে রংপুর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। রংপুর জিলা স্কুল মাঠে সকাল থেকেই যুবলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপচেপড়া ভিড়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শ্রী রমেশ চন্দ্র সেন এমপি, শাজাহান খান এমপি, বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সাবেক সংসদ সদস্য ও কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।

বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করেন রংপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মামুন উর রশীদ মামুন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ^াস মতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ, সহ-সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান শাহীন ও লক্ষিণ চন্দ্র দাস। এরপরে রংপুর টাউনহলে সম্মেলনের ২য় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য দীর্ঘ ২৭ বছর পর রংপুর জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

Facebook
Twitter
Pinterest
Reddit
Skype
Email
LinkedIn