১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
সর্বশেষ

রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত ৩৮৩ জন শনাক্ত হয়েছে

 

জালাল উদ্দিন/টোয়েন্টিফোর মিডিয়া ডটকমঃ

 

রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত ৩৮৩ জন শনাক্ত হয়েছে। এ সময় করোনা আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ৮০ শতাংশে। এর আগে বৃহস্পতিবার ৪১২ এবং বুধবার ৪৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে বিভাগের আট জেলার মধ্যে রংপুরের ১১৯, দিনাজপুরে ৬১, নীলফামারীর ৫০, ঠাকুরগাঁওয়ে ৪৬, পঞ্চগড়ের ৩৪, গাইবান্ধায় ৩১, লালমনিরহাট ২৩ ও কুড়িগ্রামের ১৯ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১০ জন। বর্তমানে বিভাগে করোনা আক্রান্ত গুরুত্বর ১০৭ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সংকটাপন্ন ১৪ রোগীকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। বাকিদের বাসায় রেখে চিকিৎসা চলছে। পুরো বিভাগজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ৫ হাজার ৭২৫ জন রোগী।

পরিচালক আরও জানান, রংপুর বিভাগে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুরে। এ জেলায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ১৬ হাজার ১৯৬ এবং ৩৩৪ জন মারা গেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগীয় জেলা রংপুরে। এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬২-তে।

এ ছাড়া জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম ৬৩ জন মারা গেছে গাইবান্ধায়। এ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ২৬২ জনের। ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যু ২৫৬ ও শনাক্ত ৮ হাজার ৩৬৬, নীলফামারীতে মৃত্যু ৮৯ ও শনাক্ত ৫ হাজার ১০২, পঞ্চগড়ে মৃত্যু ৮১ ও শনাক্ত ৪ হাজার ১৭৮, কুড়িগ্রামে মৃত্যু ৬৯ ও শনাক্ত ৪ হাজার ৮৫১ এবং লালমনিরহাট জেলায় মৃত্যু ৭০ ও আক্রান্ত ৩ হাজার ৫১ জন।

তিনি জানান, ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভাগে মোট ৩ লাখ ২৩ হাজার ১৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ হাজার ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৫৭ জনের। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৫৫ হাজার ৩৪৩ জন।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, গণটিকাসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে টিকার আওতায় আনার ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের চেয়ে কমে আসছে। বর্তমানে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এবং করোনার ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। তবে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে জনগণকে সচেতন করতে মুখে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে মাস্ক সরবরাহ করা অব্যাহত আছে।

Facebook
Twitter
Pinterest
Reddit
Skype
Email
LinkedIn